“মনোবীক্ষণ”
– রুনু ভট্টাচার্য
আমার অনুসন্ধিৎসু মন খুঁজে বেড়ায় যত্রতত্র
ভেতর-বাইরের ভাষা বোঝার মনোবীক্ষণ যন্ত্র;
সর্পমণি’র খোঁজে যেমন বেদেরা করে বিচরণ।
মহাবিশ্বের আয়োজনে নিখাদ এক বিশ্বস্ত বন্ধু
বহুমৃত্যু প্রতিরোধে অমোঘ এক অদ্বিতীয় যন্ত্র;
প্রাকৃতিক নয়, আমি আত্মিক মৃত্যুর কথা বলছি।
ফিলোসফি পড়া শেষে, সাইকোলজি গেলা শেষে
অতঃপর বুঝেছি- সবই কেবলই নিছক তত্ত্ব;
হৃদয় ভেদ করার একটাই উপায়- মনোবীক্ষণ।
আজও কোনো দেবতাই- আমাতে কভু তুষ্ট নয়
তাই ইচ্ছে কবিতাবরে মনোবীক্ষণ শুধুই আকাশ কুসুম
তবু নিরন্তর খুঁজে ফিরি; যদি পাই খোঁজ তারই!
ভাবছ মনোবীক্ষণ কেবলই মনের কথাই বলে?ছ
না, মনোবীক্ষণ ঠেকায় অপ্রত্যাশিত অপমৃত্যু
মনোবীক্ষণ জানায় নির্মম প্রবঞ্চনার পূর্বাভাস।
হতাশার আগেই বার্তা, আত্মিকতা নাকি কৃত্রিমতা
ফোকাস তলে স্বচ্ছ দর্শন- মুখে মধু অন্তরে বিষ!
উলুবনে মুক্তা নিক্ষেপণ- প্রতিরোধে মনোবীক্ষণ।
অজ্ঞাতজনে স্পষ্টতা; বন্ধুতা নাকি মহা শঠতা!
অভিনেত্রে প্রদর্শন- মুখের আড়ালে মুখোশের ছবি।
তাই রণে-বনে, জলে-স্থলে আমার অহর্নিশ ভ্রমণ
যদি কভু পাই মনোবীক্ষণ, মুহুর্মুহু আসবে না